ঢাকার গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়াস্থ সিটি কর্পোরেশনের জাকের সুপার মার্কেটে দোকান অবৈধভাবে বিক্রি ও চাঁদাবাজি করে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা টাকা ফেরত চাইলে চলছে হামলা নির্যাতন। বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে দোকান। এমনি ঘটনায় রাকিব নামের এক ব্যবসায়ীকে তিন তলা থেকে ফেলে দেয় চাঁদাবাজ চক্র।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাজী মো. রাকিব উদ্দিন শেখ নামে ওই ব্যবসায়ীকেঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, নিজের দোকান ফেলে পালাচ্ছেন সিটি কর্পোরেশনের জাকের মার্কেটের ব্যবসায়ী রাকিব। তাকে ধাওয়া করছেন ১৫ থেকে ২০ জন।
ধাওয়াকারিদের নেতৃত্ব দিচ্ছে ফিরোজ নামের একজন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফিরোজকে চাঁদা না দেয়ার কারণেই রাকিবের ওপর হামলা হয়েছে। আর, এমন ঘটনা সেখানে নিয়মিত।
তাকে চাঁদা না দিলে দলবল নিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয় ফিরোজ। প্রমাণ হিসেবেযার সিসিটিভি ফুটেজ দেখান ব্যবসায়ীরা।
গেলো বছর, ঢাকার গুলিস্তানের এসব মার্কেটের নকশা বহির্ভুত সব দোকান উচ্ছেদ করে উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু উচ্ছেদের আগেই সেসব দোকান বরাদ্দের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শতকোটি টাকা আদায় করে একটি চক্র। যারা আজও ধরা ছোয়ার বাইরে।
দোকান পেতে ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা দেয়া সেসব ব্যবসায়ীরা এখন ফুটপাতের হকার। আর টাকা ফেরত চাইতে গেলেই তাদের উপর নেমে আসছে জীবননাশের হুমকি।
সেই সময় উচ্ছেদ থেকে রক্ষার নামেও দোকান প্রতি দশ লাখ টাকা আদায় করাহয়। অবৈধ দোকানও বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকায়।
এসব টাকা আদায়ের অভিযোগটা মূলত ফিরোজের বিরুদ্ধে। এই টাকা সিটি করপোরেশনথেকে শুরু করে পুলিশ সব জায়গাতেই ভাগ গেছে বলে দাবি করছেন সাধারল ব্যবসায়ীরা।
৩৫ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে সম্প্রতি ফিরোজের নামে মামলা করেন রাকিব। তার জেরেই গেলো বুধবার বিকেলে রাকিবকে মারধর করে তিনতলা থেকে ফেলে দেয় ফিরোজের লোকজন।
ক্যামেরার উপস্থিতি টের পেয়ে মার্কেট থেকে সরে যান ফিরোজ। রাকিবকে ফেলা দেয়ার পর গা ঢাকা দিয়ে আছেন তিনি। যদিও তার বাহিনী মার্কেটে উপস্থিত থেকে সব কিছুনিয়ন্ত্রন করছে।
পুলিশও বলছে ফিরোজের নামে বেশ কটি মামলা আছে, তবে সে উচ্চ আদালতেরজামিনে মুক্ত আছে সে।
অবৈধ দোকান বিক্রির নামে হাতিয়ে নেয়া শত কোটি টাকা ফেরত দেয়া ও মার্কেটগুলো সন্ত্রাসীমুক্ত করার দাবি ব্যবসায়ীদের।