মানবদেহে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে জিনগতভাবে পরিবর্তিত নতুন প্রজাতির শূকরের উদ্ভব ঘটাবেন জার্মান বিজ্ঞানীরা।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিউনিখে লুডউইগ-ম্যাক্সিমিলিয়ান্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক অকল্যান্ড আইল্যান্ড জাতের শূকরের ক্লোনে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন এক প্রজাতির উদ্ভাবন করবেন। সেই প্রজাতির হৃদপিণ্ড পরবর্তীতে মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হবে।
গতমাসে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল চিকিৎসক প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির শরীরে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনে সফল হন।
সেই অস্ত্রোপচার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন এই প্রজাতি নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান লুডউইগ-ম্যাক্সিমিলিয়ান্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী একার্ড ওলফ।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ওই মডেলেরই একটি আরও সহজ সংস্করণ ব্যবহার করবেন তারা। এখানে শূকরের দেহে পাঁচটি জিনগত পরিবর্তন আনা হবে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফল হলে প্রথমে বেবুনের শরীরে এই হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হবে। এরপর মানুষের শরীরে ট্রায়ালের জন্য আবেদন করবেন বিজ্ঞানীরা।
সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সাল নাগাদ মানুষের শরীরে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনে সফল হবেন বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
একদিকে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে অঙ্গদানের হার সবচেয়ে কম। আরেকদিকে সেখানে প্রাণী অধিকারের বিষয়ে বেশ সচেতন সাধারণ মানুষ। তাই এই গবেষণা জার্মানিতে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।