বাবা হয়ে সন্তানের লাশ কাঁধে নেয়াটা যে কত কষ্টের তা বোঝানো যায় না। তেমনই এক বাবা বুক ভরা কষ্ট নিয়ে তার ১৮ মাসের শিশুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। জানতেন দুর্ঘটনায় মারা গেছে তার দুধের শিশু।
কিন্তু তার চার বছর বয়সী শিশু জানায়, দুর্ঘটনায় নয় হত্যা করা হয়েছে তার ভাইকে। হত্যাকারী আর কেউ নন, তাদের আপন দাদি! এমন নির্মম সত্য সামনে আসার পর রীতিমতো ভেঙে পড়েন মুকেশ ঠাকোরে।
তিনি ভেবেছিলেন, তার ১৮ মাস বয়সী শিশু শৈলেশ দুর্ঘটনায় মারা গেছে। কিন্তু তার চার বছর বয়সী ছেলে রুতভিক জানায়, ছোট ভাই ও তাকে মেরেছে তাদের দাদি। এমনকি ছোট ভাইকে দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে ঠুকে হত্যা করে দাদি।
এমন ঘটনা সামনে আসার পর নিজের মা চন্দ্রিকা ওরফে শর্মি রাভালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মুকেশ। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারতের গুজরাটের খেদব্রহ্মার বাসিন্দা মুকেশ। তিনি তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় শর্মিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি জানান, বাচ্চাদের লালন-পালন করতে চাইছিলেন না তার মা। এজন্য নির্যাতন করে শৈলেশকে হত্যা করেছেন তিনি। মুকেশ জানান, তার ৩০ বছর বয়সী স্ত্রী কোদাবারি তাকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকছে।
একটা কাজে রাজস্থানে যেতে হয় মুকেশকে। এজন্য সন্তানদের দেখে রাখতে মাকে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু গত ২৪ জানুয়ারি শর্মি ফোন করে মুকেশকে জানায় খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শৈলেশকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। কিন্তু মুকেশ সেখানে যাওয়ার আগেই শৈলেশের মৃত্যু হয়।
মুকেশ বলেন, আমি গিয়ে দেখি শৈলেশ মারা গেছে। তার মরদেহ মর্গে পড়ে রয়েছে। আমার বড় ছেলে রুতভিকের চেহারায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে ডাক্তার জানান, কারও মার খেয়েই আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।