এবার দেশের মানবাধিকার ইস্যু উঠছে জাতিসংঘে। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে গুম হয়েছে ৭৬ জন। সরকারকে এমন একটি তালিকা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ।
আগামী সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এই নিয়ে আলোচনা হবে সংস্থাটির মানবাধিকার পরিষদের গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে। এটি গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের ১২৬তম বৈঠক।
Advertisement
তালিকায় ২৪টি দেশের তিন শতাধিক গুমের ঘটনা উল্লেখ করা হয়। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে আগামী সোমবার।
মানবাধিকার ইস্যুতে বছরে দুইবার বৈঠক করে সংস্থাটি। বৈঠকে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজন, ২৪টি দেশের সরকার প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও অন্য অংশীজনের সঙ্গে গুমের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করবে দক্ষিণ কোরিয়ার তায় উং বাইকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি।
জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের এক নথিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গুমের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে উদ্বেগ জানালেও বাংলাদেশ কোনো সাড়া দিচ্ছে না। ১৯৯৬ সাল থেকে ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। বাংলাদেশ কেবল একটি গুমের অভিযোগের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। বাংলাদেশে গুমের ক্ষেত্রে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে সবচেয়ে অভিযোগ রয়েছে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, দেশের নিরাপত্তা বাহিনী গুম খুনের সঙ্গে জড়িত নয়। অনেকে আত্মগোপন করে। পরে আবার ফিরে আসে। কাউকে কাউকে কিছুদিন পরই উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আত্মগোপনে থেকে গুমের অপপ্রচার চালাচ্ছে।