নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির গঠন করা সার্চ কমিটির সদস্যরা নিরপেক্ষ নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
তাদের অভিযোগ, সার্চ কমিটির ছয় সদস্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পছন্দের লোক। এই কমিটি নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ নেই।
বিএনপি নেতারা বলছেন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়ার পর সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনই তাদের একমাত্র চাওয়া।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন জারির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বিএনপি বলছে, এই প্রজ্ঞাপন আওয়ামী লীগের বিনা ভোটে ক্ষমতা দখলের আরেকটি আইনি মোড়ক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি ঘোষণা আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার ভোট চুরির সরকার। নতুন নিরপেক্ষ সরকার আসবে। সেই সরকারের অধীনে সার্চ কমিটি গঠিত হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা মনে করি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি আরো বলেন, সার্চ কমিটি হোক আর যে নির্বাচন কমিশনই হোক, এ সরকার থাকলে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না।
আর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দল নিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় না থাকলে প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন কোনোটাই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না।
বিএনপি নেতারা আরো দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন আইন করার নৈতিক অধিকার আওয়ামী লীগ সরকারের নাই। তাঁদের মতে এই সরকার অনির্বাচিত।
সুষ্ঠু নির্বাচনে দরকার এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন। আর সেই সরকারের অধীনে সব দলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে গঠন হবে নতুন নির্বাচন কমিশন।
রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই বিএনপি এই সরকার পতন ঘটিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে বলেও জানান, বিএনপি নেতারা।