বিসিবি মনোনীত কোচ আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করে বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলেন বাগেরহাট জেলার বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাঈম। এরপর শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অভিযোগের বিষয়ে বোর্ডের শুনানিতে অংশ নিতে নিজ জেলা থেকে ঢাকায় আসার পথে বাসে আক্রমণের শিকার হন এই ক্রিকেটার।
মিরপুর স্টেডিয়ামে আজ সংবাদমাধ্যমকে নাঈম আক্রমণের বিষয়ে বলেন, ‘যখন গাড়িতে উঠেছি তখন আমার ওপর আক্রমণ করা হয়। আমি স্পষ্ট বলতে পারছি না তারা কোচের লোক কি না! কিন্তু বাগেরহাটের বেশ কয়েকজনের নাম বলেছে। মানে উনার লোক এমনটা বলেছে। আমার সন্দেহ হচ্ছে যে হতে পারে তার লোক। ‘
ঘটনার সূত্রপাত হয় বেশ কিছুদিন আগে। আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৬ বিভাগীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত দল নির্বাচনে ৩৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে দুটি ম্যাচ আয়োজন করা হয়। এগুলোতে একটি অর্ধশতকসহ ৫৭ রান করেও ১৫ জনের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েন নাঈম। তার অভিযোগ, ঘুষ না দেওয়ায় জায়গা পাননি।
নিজের অভিযোগের বিষয়ে নাঈম বলেন, ‘আমার অভিযোগটা ছিল বাগেরহাটের কোচ আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিল। সেটা আমি বোর্ডকে মেইল করে জানাই। তাদের সম্পূর্ণ ব্যাপারটা বিস্তারিত জানিয়েছি। ম্যাচের ব্যাপারে, কীভাবে ম্যাচ হয় আর কীভাবে খেলোয়াড়দের নেওয়া হয়। তারা জানতে চেয়েছিল কেমন হয়, তখন আমি তাদের বলেছি যে অনুশীলন ম্যাচে হয়। সেই ম্যাচে যারা ভালো করবে তারাই দলে থাকবে। ‘
এসময় নাঈম আরও বলেন, ‘এটা জানার পর বোর্ড বলছে এটা তো একটু সময়ের ব্যাপার। তারা এটা তদন্ত করে দেখবে। তার কথাও শুনেছে আমার কথাও শুনেছে। ‘
মাত্র ১৬ বছর বয়সে জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই দেখেছেন নাঈম। ক্রিকেটের নেশায় ২০১৮ সালে ঢাকায় পালিয়ে আসেন। কিন্তু অনুশীলন করতে মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে খরচ হবে শুনে বিমর্ষ মনে বাগেরহাটে ফিরে যায়। তবে দমে যায়নি। বাবার পকেট থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়ে চট্টগ্রামে পালিয়ে যান। সেখানে নানার কাছে গিয়ে ভর্তি হয় পোর্ট সিটি ক্রিকেট একাডেমিতে। চট্টগ্রামে দারুণ খেললেও জন্মসূত্রে খুলনা বিভাগের হওয়ায় সেখানে থিতু হতে পারেনি। বাগেরহাটে এসে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে বিসিবির শুনানির বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।