যে সে ভবন নয়, রীতিমতো পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে প্রভাবশালী ভবন। আর সেই ভবনে অনুপ্রবেশ! তাই সাজাও হবে নিশ্চয়। কিন্তু একটা মুরগিকে আর কিইবা সাজা দেওয়া যায়? তাইতো শেষমেষ তাকে তুলে দেওয়া হলো প্রাণী কল্যাণ সংস্থার কাছে।
এমন ঘটনাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে। চলতি সপ্তাহে পেন্টাগনের নিরাপত্তা এলাকার আশপাশেই লক্ষ্যহীনভাবে একটি মুরগিকে ঘুরতে দেখা যায়। নিরাপত্তা কর্মীরা মুরগিটি ধরে ভার্জিনিয়ার স্থানীয় প্রাণী কল্যাণ সংস্থা অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার লিগ আর্লিংটনের কাছে দিয়ে দেয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
পরে নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে মুরগির ছবি শেয়ার করে সংস্থাটি। সেখানে লিখা হয়েছে, ‘আপাতদৃষ্টিতে, মুরগিটি কেন রাস্তা পার হয়েছিল’ এর উত্তর জানতে পেন্টাগনের কাছে যেতে হবে। তবে লিগের এক কর্মচারী মুরগিটি নিজের হেফাজতে নিয়ে গেছেন।
সংস্থাটির মুখপাত্র চেলসি জোনস জানান, মুরগিটি কোথায় পাওয়া গেছে তা তাদের না জানালেও কোনো এক নিরাপত্তা চৌকিতে এটি ছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া মুরগিটি কোথা থেকে এসেছে অথবা কীভাবে পেন্টাগনে ঢুকে পড়েছে তাও স্পষ্ট নয়।
বাদামী পালকের লাল ঝুঁটিওয়ালা মুরগিটি রোড আইল্যান্ড প্রজাতির। লাল মুরগিটিকে ‘মিষ্টি’ এবং ‘দুর্বল’ প্রকৃতির হিসাবে বর্ণনা করেন জোনস। এর দেখভালের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই পোস্টে মুরগিটির কী নাম দেওয়া যায় এমন প্রশ্নে অনলাইনে উঠেছে হাসির রোল। আর প্রতিবারের মতো এবারের সৃজনশীলতা দেখিয়েছেম নেটিজেনরা। তাদের একজন লিখেছেন, যেহেতু মুরগিটি সামরিক চৌকিতে পাওয়া গেছে… আমি তার নাম ‘কর্নেল স্যান্ডারসন’ রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।
অন্য আরেকজন লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম অনুসারে তার নাম ‘চিক চেনি’ রাখা যেতে পারে। অপর এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, হেন্টাগন। মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের নাম অনুযায়ী মুরগিটির নাম হেনরিয়েটা কিসিঞ্জার রাখার পরামর্শও দিয়েছেন একজন।