বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রায় দুই বছর পর আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে দেশটি। তবে দেশটিতে প্রবেশের জন্য পূরণ করা লাগবে টিকার শর্ত।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, দুই ডোজ টিকা দেওয়া থাকলেই আপনাকে স্বাগতম জানানোর অপেক্ষায় থাকবো আমরা। খবর বিবিসির।
মহামারিতে সবচেয়ে কঠোর নীতি প্রনয়ণ করা দেশগুলোর একটি অস্ট্রেলিয়া। ২০২০ সালের মার্চে করোনা প্রতিরোধে দেশটির সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ডিসেম্বর থেকে কিছু আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও দক্ষ অভিবাসীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
সীমান্ত খুলে দেওয়ার দিনেই দেশটির আন্তর্জাতিক শিক্ষাসহ একাধিক খাত খুলে দেয়ারও কথা রয়েছে। তবে প্রবেশের আগে টিকার সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক উল্লেখ করে সকলকে এই নির্দেশনা অনুসরণের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
যে সকল ভ্রমনকারীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে টিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে তারাও ভ্রমণের জন্য আবেদন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অনুমতি মিললে হোটেলে নির্ধারিত দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরই মিলবে দেশে প্রবেশের অনুমতি।
মহামারি শুরুর পর থেকেই অস্ট্রেলিয়া করোনা প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে আসছে। এমনকি গত বছর নিজ দেশের জনগণের বাইরে যাওয়াতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।
পুরো দেশ খুলে দেওয়ার এ সময়ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যগুলো কঠোর নিয়মকানুন অনুসরণ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি ছাড়া অস্থানীয় এবং এক রাজ্যের বাসিন্দারা অন্য রাজ্যে প্রবেশ করতে পারছে না।
এই মাসে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে তা বাতিল করা হয়।
জন হপকিন্স বিশবিদ্যালয়ের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৭ লাখ করোনা ভাইরাসের কেস শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ২৪৯০ জনের। দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী সম্পূর্ণ টিকাধারী।