গত মাসে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা ও বাঘ ও সিংহীর মৃত্যুতে তোলপাড় সারা দেশে। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। দফায়-দফায় পরিদর্শন করেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর মাঝেই আলোচনায় আসে ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় এক সিংহীর মৃত্যু খবর। কারণ গত ২৫ জানুয়ারি পশুটির মৃত্যু হলেও তা জানায়নি কর্তৃপক্ষ। ঘটনার চার দিন পর জানাজানি হলে দাবি করা হয়, অ্যানথ্রাক্সে মারা গেছে সিংহীটি। এছাড়া, গত বছর এই চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, হরিণসহ ৮টি প্রাণি মারা যায়।
হঠাৎ এত পশুমৃত্যুর কারণ খুঁজতে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চিড়িয়াখানাটি পরিদর্শনে যান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়ে তিনি চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রাণীর খাঁচা ঘুরে ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গে চিড়িয়াখানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় পশুর রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার জন্য ক্ষোভ জানান তিনি।
পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চিড়িয়াখানায় দায়িত্বরতদের অবহেলা বা অমনোযোগীতার কারণে প্রাণীগুলো মারা গেছে কি না সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে কারও কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষের বিনোদনের একটি অন্যতম কেন্দ্র হচ্ছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। এটিকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে গত শুক্রবার রংপুর চিড়িয়াখানায় মৃত্যু হয়েছে শাওন নামে একটি বাঘিনীর।