বুধবার থেকে নয়, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে দেশের সব গন্তব্যে ছুটবে যাত্রীবাহী ট্রেন। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সব আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল নিয়ে একদিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে সব আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের কথা বলা হলেও কোন তারিখ দেয়া হয়নি।
রেল কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, সব আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত হওয়ায়, ট্রেনের টিকেট বিক্রিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অনলাইনও আপডেট করা হয়েছে।
এ কারণে আগের চাইতে অনেক বেশি আসনের টিকিট পাওয়া যাবে। আর সেই টিকেট বিক্রির কার্যক্রমটি শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে। অর্থাৎ, আবারো শতভাগ আসনের টিকিট বিক্রি হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৬ জোড়া ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ স্টেশন কাউন্টারে এবং ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
তবে, আন্তঃনগর ট্রেনের স্টান্ডিং টিকেট এবং স্টেশনের প্লাটফর্মে টিকেট ইস্যু পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ট্রেনে ক্যাটারিং সেবাও আবারো চালু হবে।
সোমবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের সময় মুখে মাস্ক থাকলেও, স্যানিটাইজারের বোতল কেউ ছুঁয়েও দেখছেন না।
অন্যদিকে, কমলাপুরে একটি আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন ছাড়ছে ঠিকই, কিন্তু এই ছবি বদলে যায় রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশন পার হলেই।
২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিধি-নিষেধ মানার সময় বাড়লেও, ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলবে রেল।
কবে, কাউন্টারে টিকেট ইস্যু ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত?
এমন প্রশ্নের জবাবে যাত্রীরা বলেন, নজরদারি বাড়ালে সব যাত্রীই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। তবে আসনের বেশি যাত্রী উঠালে সেটির দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
যাত্রীদের চাহিদার কারণে সব আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালু করা হচ্ছে এমন কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার দায়িত্বটাও সবার। কড়াকড়ি করে কিছু হয় না।
এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে অর্ধেক আসন যাত্রী পরিবহন করে আসছিলো রেলওয়ে।