স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কর্মসূচি প্রকল্পের বরাদ্দ ও সময় দুটোই বাড়ালো সরকার। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রস্তাবসহ মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, স্বাস্থ্যখাতের মান উন্নয়নে প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেবে সরকার।
প্রায় ১৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মোট দেশজ আয়ের প্রতি একশ’ টাকার সাড়ে পাঁচ টাকা বরাদ্দ আছে সরকারের।
তবে, এই বরাদ্দও কতোটা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছায়, সরকারি হাসপাতালে মানুষ কতোটা সেবা পায়- এসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা আছে।
এমন প্রেক্ষাপটেই একনেক বৈঠকে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি প্রকল্পের ব্যয় ও সময় দু’টোই বাড়লো। এটি কোনো একক প্রকল্প নয়, অনেকগুলো প্রকল্পের সমষ্টি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতায় বাস্তবায়ন হওয়া সবচেয়ে বড় এই কর্মসূচির মূল ব্যয় ছিলো সোয়া লাখ কোটি টাকার ওপরে যা শেষ হবে ২০২২ এর জুনে।
কিন্তু করোনা মহামারিকে মাথায় রেখে বাড়ছে মেয়াদ আর টাকার পরিমাণ। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
প্রকল্পের বরাদ্দ আর সময় বাড়ানোর ব্যাখ্যাও দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এই বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ও এর অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্যখাতের সবচেয়ে বড় এই কর্মসূচির সংশোধনী প্রস্তাবসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি নিয়ে আবারো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি আরো জানান, মহামারীর পরেও সত্ত্বেও গেল অর্থবছর শেষে বেড়েছে জিডিপি। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসেবে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসাবে ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
জিডিপি প্রবৃদ্ধির আকার স্থির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১৬ বিলিয়ন ডলার, যা প্রাথমিক হিসাব ছিল ৪১১ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে মানুষের মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২,৫৯১ ডলার, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ২,৫৫৪ ডলার।