বিশাল পতিত জমি ইজারা দিয়ে ফসল উৎপাদনে সহযোগিতা চায় দক্ষিণ সুদান। এ বিষয়ে সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট খাত চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ একটি বিশেষজ্ঞ দল সুদানে পাঠাবে। এ দলে থাকবেন কৃষি গবেষক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেকের সাক্ষাতকার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানানো হয়।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ সুদানে ছয় লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি জমি রয়েছে। এর বেশিরভাগ জমি পতিত পড়ে থাকে, চাষাবাদ হয় না। এ বিশাল এলাকাকে কৃষি উৎপাদনের আওতায় এনে অনেক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সে দেশের সরকারের মালিকানাধীন বা খাস জমি ইজারা নিয়ে ফসল উৎপাদন নিয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অনেকেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি সরকারও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ সুদানে কী ফসল উৎপাদন করা যায়, জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, তা দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হবে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বেসরকারি খাতের যারা বিনিয়োগ করতে চায়, তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। শ্রমিক পাঠানোসহ এসব বিষয়ে সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
এদিকে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক সে দেশে কৃষি উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, কৃষি খাতে আমরা বাংলাদেশের সাফল্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। আমাদের বিশাল পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও রফতানিও করতে চাই।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মেয়ম অ্যালিয়েন, ইথিওপিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম, সেনা কল্যাণ সংস্থার উপমহাপরিচালক কর্ণেল মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।