২০২২ সালে ফাইজারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও মুখে খাওয়ার ওষুধ বিক্রি ৫৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ফাইজার কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ওয়াল স্ট্রিটের বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস থেকে এই বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা কম। এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর পুঁজিবাজারে ৩ শতাংশ পড়ে গেছে।
তবে হতাশ নন ফাইজারের প্রধান নির্বাহী অ্যালবার্ট বোরলা। তিনি বলেন, ফাইজারের কোভিড-১৯ অ্যান্টিভাইরাল প্যাক্সলোভিডের বিক্রি আরও বাড়তে পারে, যা ছাড়িয়ে যেতে পারে তাদের বর্তমান বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রাকেও।
সম্প্রতি ফাইজার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুই কোটি প্যাক্সলোভিড বিক্রি করেছে। প্রতিটি ৫৩০ ডলার দরে বিক্রি করা হয়েছে। তবে সবাই এই দরে প্যাক্সলোভিড পাবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, মূলত বিশাল পরিমাণ ক্রয়াদেশের কারণে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে এই দরে অ্যান্টিভাইরালটি সরবরাহ করছেন।
বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি দেশের সঙ্গে তাদের প্যাক্সলোভিড বিক্রির বিষয়ে আলোচনা চলছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে ৯৮-১০২ বিলিয়ন ডলার বিক্রির আশা করছে ফাইজার।
ফাইজার বর্তমানে অ্যান্টিভাইরাল প্যাক্সলোভিডের আরেকটি উন্নত সংস্করণ নিয়ে কাজ করছে, যা কোভিড-১৯-এর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের সংক্রমণের শুরুতেই দেওয়া যাবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্যাক্সলোভিডের সফলতার হার ৯০ শতাংশ, যা প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য সব প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টিভাইরালের থেকে বেশি।