ভাসমান মানুষের করোনা টিকা কার্যক্রমে তেমন সাড়া মিলছে না। এ নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রচার চললেও টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষ।
যারা নিচ্ছেন, তাদের টিকা সনদের বদলে দেয়া হচ্ছে হাতে লেখা কাগজ। তাই, কেউ একবারের বেশি টিকা নিলেও তা শনাক্তের সুযোগ নেই।
শুধু তাই নয়, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ ছাড়া টিকা নিতে আসা ভাসমান মানুষের বয়সও যাচাই করা যাচ্ছে না।
বুধবার সকালে ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশনে টিকা নিতে আসেন আর্জিনা বেগম। তিনি ঢাকা শহরেই ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করেন। তারপরও করোনার টিকা পেয়েছেন নির্ভেজালে।
তারই মত এমন আরো অনেক ভাসমান মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন অস্থায়ী এমন সব টিকা কেন্দ্রে।
ভাসমান মানুষদের জন্য টিকা কার্যক্রমের তৃতীয় দিন সকালে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে শুরু হয় টিকাদান। তবে টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা ছিলো খুবই কম।
এই স্টেশনে ৩৫ বছর ধরে জুতা সারাইয়ের কাজ করা রবি দাস কিংবা পাশেই পানের দোকান সাজিয়ে বসা ব্যক্তিটি টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন এখনও।
এই কার্যক্রমে টিকা নিতে কোন কাগজপত্র লাগে না, তাই টিকা গ্রহীতাদের বয়স নির্ধারণের উপায় নেই। টিকা নেয়ার পর সনদের বদলে দেয়া হয় হাতে লেখা কাগজ, তাই কেউ কেউ একাধিকবার টিকা নিলো কিনা সেটিও বোঝার উপায় নেই।
ঢাকা উত্তর সিটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, সনদ মিলবে না জেনেও টিকা নিচ্ছেন সবাই। পর্যায়ক্রমে পাঁচ লাখ ভাসমান মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা তাদের।
ভাসমান এসব মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে এক ডোজের জনসন অ্যান্ড জনসন টিকা। প্রথম দুই দিনে এই টিকা নিয়েছেন তের হাজারেরও বেশি মানুষ।