ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ল্যাপটপ কিনে না দেওয়ায় আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী সানজিদা (১৭)।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে উপজেলা পৌর সদরের হুগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সানজিদা এ বছর এসএসসি পাস করছে। সে ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। সানজিদা হুগলাডাঙ্গী গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শেখ শাহ আলমের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত স্কুলছাত্রী সানজিদা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারেনি। তারপরও সে বাবাকে একটি ল্যাপটপ কিনে দিতে বলে। প্রবাসী বাবা শাহ আলম মঙ্গলবার রাতে মোবাইল ফোনে সানজিদাকে তার ছোট বোনের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় নষ্ট করার জন্য রাগারাগি করেন। এবং খারাপ রেজাল্টের জন্য ল্যাপটপ কিনে না দিয়ে বরং ছোট বোন পড়ায় ভালো আর সানজিদা খারাপ–এমন কথা বলায় অভিমান করে সানজিদা। প্রতি রাতের মতো গত রাতেও খাবার খেয়ে সানজিদা দাদির সঙ্গে ঘুমাতে যায়। তারা একই খাটে ঘুমিয়ে ছিল। বৃদ্ধা দাদি ফজরের নামাজ পড়তে উঠে সানজিদাকে না দেখে লাইট জ্বালান। তখন আরেক রুমে সানজিদাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে চিৎকার করেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা নামিয়ে দেখেন মরে শক্ত হয়ে আছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার সময় লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার এসআই আ. সালাম বলেন, ‘সানজিদারা দুই বোন। প্রবাসী বাবা পড়ার জন্য রাগ করায় এবং ল্যাপটপ কিনে না দেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। তবে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো রকম সন্দেহ না থাকায় সানজিদার মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’