নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুরে উত্তর সেনপাড়া এলাকার একটি কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিকল বাধা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন রুমা আক্তার (৩২) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন মা তাছলিমা বেগম।
আগুনে ওই কলোনির অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত রুমা আক্তার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পশ্চিমবাগড়া এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার কাঁচপুরের সেনপাড়া এলাকায় অবস্থিত ফজলুল হক ও মোতালেব মিয়ার কলোনিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ফজলুল হক কলোনীর ৩৩টি টিনশেড ঘর ও মোতালেব মিয়ার কলোনির আটটিসহ অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে যায়।
আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সোনারগাঁ, ডেমরা এবং আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত রুমা আক্তারের বড় বোন ঝুমা আক্তার জানান, তার মা কাচঁপুরে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ছোট বোন রুমা আক্তার গত ৬ ফেব্রুয়ারি কাচঁপুরে তাদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো।
রাত তিনটায় ঘরের চালে আগুন দেখে তাড়াহুড়ো করে তারা ঘর থেকে বের হয়ে আসে। পরে রুমার কথা মনে পড়লে তাকে বাচাঁতে গেলে তার মা আহত হয় এবং অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় রুমা।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক ফজলুল হক ও মোতালিব মিয়ার দাবি, আগুনে তাদের টিনশেড ঘর ও ভাড়াটিয়াদের মালামালসহ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ডেমরা ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা ওসমান গনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।