 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    ঢাকার দোহারের লটাখোলা এলাকায় যৌতুকের দাবিতে শিক্ষিকা স্ত্রীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বামী বাহারুল ইসলাম ওরফে হিরুর বিরুদ্ধে দোহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর আগে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চৌকিঘাটা এলাকার মো. জালাল উদ্দিনের মেয়ে নূপুর সুলতানার সঙ্গে ঢাকার দোহার উপজেলার লটাখোলা এলাকার গুঞ্জর আলীর ছেলে বাহারুল ইসলাম হিরুর বিয়ে হয়।
তাদের ১৪ বছরের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নূপুর নবাবগঞ্জ উপজেলার কালুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত।
বাহারুল ইসলাম বিয়ের পর থেকে নানাভাবে তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ কয়েক দফায় এ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা যৌতুকসহ শ্বশুরবাড়ি থেকে ধার নেন। দিচ্ছি দিচ্ছি বলে সেই টাকা ফেরত না দিয়ে বরং আবারও টাকার দাবিতে চাপ দিচ্ছিলেন তিনি।
এছাড়াও বিভিন্নভাবে ওই শিক্ষিকাকে পরকীয়ার কথা বলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন স্বামী।
গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষিকা তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি এলে একই অজুহাতে তাকে মারধর করে ঘরে থাকা কাঁচি দিয়ে তার মাথার সব চুল কেটে দেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে তার বাবাকে জানালে তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দোহার থানায় নিয়ে আসেন।
পরে ওই শিক্ষিকা বাদি হয়ে দোহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার একদিন পর বুধবার রাতে মামলা হওয়ার পরেই বাহারুলকে দোহার থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করে।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা হয়েছে এবং আসামি বাহারুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।