রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় স্কুলছাত্রীসহ ৪ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, পূজা ঘোষ (২৪), শান্তা আক্তার (১৫), রওশন আরা বেগম (৬০) এবং অজ্ঞাতনামা নারী (৪০)।
সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ পৃথক ভাবে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তিন জনের মরদেহ ঢামেক মর্গ ও এক জনের মরদেহ মিটর্ফোড মর্গে পাঠিয়েছেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিবাস্তিন বালা জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহে গৃহবধূ পূজা ঘোষ (২৪) গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন। সংবাদ পেয়ে সকাল সাড়ে সাতটায় যাত্রাবাড়ির ৭/১ দয়াগঞ্জ জেলে পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্বামী দুধ বিক্রেতা নরেশ ঘোষ। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বাসিন্দা।
পরিবারের বারাত দিয়ে পুলিশের ঐ কর্মকর্তা জানিয়েছেন পারিবারিক কলহের কারণেই এই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়াও অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের জন্য রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে।
অপর দিকে, মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল আনছার জানান, স্কুল ছাত্রী শান্তা আক্তার (১৫) কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর গ্রামের কামালের মেয়ে। পরিবারের বরাতে তিনি বলেন, দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পূজা। পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে বুধবার রাত ১০টায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের কারণ সম্পর্কে পরিবারের লোকজন কিছুই জানতে পারেননি। মুগদার মানিকনগর এলাকায় পরিবারের সাথে থাকতেন পূজা। তিনি স্থানীয় স্কুলের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
একই দিনে, খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সনিয়া পারভীন জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খিলগাঁও কবরস্থানে দক্ষিণ-পূর্ব কোণের একটি গাছে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রওশন আরা বেগম (৬০) আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন রওশন আরা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। রওশন আরার ছেলে মো. সজিব জানিয়েছেন, তারা চার ভাই, তিন বোন। তাদের মা বেশ কয়েক বছর যাবত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তিনি বাসার বাইরে চলে যেতেন।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে খিলগাঁও তালতলা রিয়াজবাগের মেয়ের বাসা থেকে বের হন রওশন আরা। পরে খিলগাঁও কবরস্থানে গাছের সঙ্গে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
এছাড়া ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের পাশ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছেন ঐ নারী ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ঐ নারী কয়েকদিন ধরে ওয়ারী থানাধীন ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের ভেতরে ছিলেন। সেখানে অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।