কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত থাকার পরও চালসহ খাদ্যপণ্যে দাম বেশি। বিশেষ করে সরু চালের দাম এখনো বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়েছে। শিপিংসহ সব পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। তবে সিন্ডিকেটের কারণে চালের দামে প্রভাব পড়েনি। চাল আমদানি করলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে। তবে এখনো চাল আমদানির অনুমতি নেই বলে জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদমাধ্যম কৃষিমন্ত্রী বলেন, চালের দাম কিছুটা কমলেও বাজারে সবজির দাম এখনো অনেক বেশি। তবে এত দাম বাড়ার পরেও দেশে কোনো হাহাকার নেই, মানুষের কষ্ট নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জ্বালানি তেলসহ নানা উপকরণের দাম বৃদ্ধির প্রভাবেই এমন হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে খোলাবাজারে চাল বিক্রিসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
সরকারি তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আমনের ভালো ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে সর্বশেষ বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের রেকর্ড হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে চালের মজুত সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও সম্প্রতি দফায় দফায় বেড়েছে চালের দাম। একই সঙ্গে ভরা মৌসুমেও বাজারে প্রতিটি সবজির দাম চড়া। এদিকে রমজান মাস সামনে রেখে পণ্যমূল্য আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে বর্তমানে দেশে চালের মজুত ২০ লাখ টনের ওপরে থাকার পরও কেন মূল্য আকাশছোঁয়া এ নিয়ে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীতে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নিজেই ক্ষোভের কথা জানান। একই কারণে কয়েক মন্ত্রী বিভিন্ন আয়োজনে পণ্যমূল্য না কমায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।