করোনাসময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি, সরবারহসংকট, বেকারত্ব ও খাদ্যঘাটতির মতো সমস্যা। চলমান এ সমস্যায় দিনকে দিন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ।
কানাডায় কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে হুমকির মুখে দেশটির অর্থনীতি। এ অবস্থায় আবারও বিক্ষোভ বন্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
একই দাবিতে ফ্রান্সে ‘ফ্রিডম কনভয়’ ব্যানারে বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েকশ নাগরিক। এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সব ধরনের মিছিল-সমাবেশ আগামী সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
কানাডায় ট্রাকচালকদের করোনার বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভ থামছেই না। শুক্রবারও (১১ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভকারীরা অটোয়ার রাস্তা আটকে রাখলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দাবি না মানা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
এ সময়ে তারা টিকা গ্রহণের বাধ্যবাধকতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, টিকা গ্রহণ নিয়ে জোর করার কিছু নেই। মানুষ টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত। প্রশাসনের উচিত এর বিকল্প বের করা।
এদিকে, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ট্রাকচালকদের বিক্ষোভের কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়েছে দেশটির গাড়িশিল্প ও কৃষি খাত। এমনকি পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মার্কিন গাড়িনির্মাতা কোম্পানি জেনারেল মোটরসের।
যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াতের অ্যাম্বাসেডর নামের গুরুত্বপূর্ণ সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে কানাডার অর্থনীতি। কারণ, সেতুটি দিয়ে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ২৫ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে।
এ অবস্থায় আবারও বিক্ষোভ বন্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
‘করোনা মহামারি নিয়ে সবাই হাঁপিয়ে উঠেছে–এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কানাডার নাগরিকদের বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য কিংবা গবেষণার ওপর ভরসা রাখা উচিত। তাই দ্রুত বিক্ষোভ বন্ধ করা উচিত। এখানে ৬১ ভাগ মানুষ প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে, আমরা চাই শতভাগ নিশ্চিত হোক।’
করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম কনভয়’ ব্যানারে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় নিরত শহরে বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েকশ মানুষ। তাদের দাবি, সরকার অযথাই নাগরিকদের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে।
এ অবস্থায় করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সব ধরনের কর্মসূচি আগামী সোমবার পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল-জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
শুধু ইউরোপেই নয়, একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডেও।