পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে সংকট সৃষ্টি করবে বলে সতর্ক করেছে সিউল। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালে কূটনৈতিক সমঝোতা ব্যর্থ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। এ অবস্থায় বাইডেন প্রশাসন পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এদিকে, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে ‘বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়ার’ মতো দেশ হিসেবে দাবি করেছে কিম সরকার।
গত দুই মাসে ছোট-বড় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা পেনিনসুলায় আবারও সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জেই। এ সময় উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা সফল না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে রাজনৈতিক নেতৃত্বদের মধ্যে লাগাতার কূটনৈতিক সমঝোতা ও আলোচনার প্রয়োজনের কথাও বলেন মুন জেই।
তিনি বলেন, ‘পিয়ংইয়ং যদি একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে থাকে, তাহলে পাঁচ বছর আগে পেনিনসুলায় যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কায় তৈরি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি আবারও আলোচনায় বসে, তাহলে পেনিনসুলা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ থাকবে বলে আমি আশাবাদী। পাশাপাশি ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের প্রতিনিধির মধ্যে মুঠোফোনে আলোচনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুহ উক বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ‘মারাত্মক হুমকি’।
এদিকে, বাইডেন প্রশাসন পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। তবে ওয়াশিংটন ও সিওল যদি শত্রুতামূলক নীতি ত্যাগ না করে, তাহলে আলোচনায় বসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কিম সরকার।
গত দুই মাসে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে নিজেকে শক্তিশালী দেশ বলে দাবি করছে পিয়ংইয়ং। যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে বলে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।