 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    চিংড়ি উৎপাদন ও রফতানিতে যেখানে যে সমস্যা আছে, তা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের একটি হোটেল শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) এর প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী কথা বলেন।
শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি ও কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য দফতরের উপপরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী ও রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে দেশের মৎস্যখাতসহ অন্যান্য খাত অনেকদূর এগিয়ে গেছে। রাষ্ট্র প্রতিকূল অবস্থা সৃষ্টি করলে এ উন্নয়ন সম্ভব হতো না। করোনায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস উৎপাদনকারীরা সবাই বিপন্ন অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। এ খাতে উৎপাদন ও বিপণন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা মাছের পোনা উৎপাদন ও পরিবহন, মৎস্য খাদ্য পরিবহন বিশেষ ব্যবস্থায় স্বাভাবিক রেখেছি। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে উৎপাদিত মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। যাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে।
তিনি বলেন, খাবারের বড় যোগান আসে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম থেকে। মৎস্য খাতে সম্পৃক্তরা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ খাতে সম্পৃক্তরা দেশের অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, মৎস্যখাতের বিকাশের জন্য জন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এই জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে কক্সবাজারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এখানে শুটকি প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চিংড়ির হ্যাচারি ও পোনা উৎপাদন সংশ্লিষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয় সকল সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।
রফতানির সব শর্ত পূরণ করে মৎস্য রফতানি করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী যোগ করেন, মাছ রফতানির ক্ষেত্রে অসাধুতা ও অতি মুনাফা লাভের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। চিংড়ি, কাঁকড়া, কুঁচিয়া এসব রফতানি পণ্যে রাসায়নিকসহ অন্যান্য ক্ষতিকর দ্রব্য মেশানো পরিহার করতে হবে।