চীনের হারবিনে চলছে তুষার ও বরফের তৈরি ভাস্কর্যের আন্তর্জাতিক উৎসব। বরফ কেটে বানানো হয়েছে কেল্লা, প্রাসাদ, ঘরবাড়ি।
আলো আর বরফে তৈরি চোখ ধাঁধাঁনো পরিবেশ দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছে হাজারোপর্যটক। দিন কয়েক আগে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতি বছর শীতে চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশ যেন পরিনত হয় বরফ আর তুষাররাজ্যে। এ সময় ওই এলাকার তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নিচে।
এর মাঝেই প্রদেশটির হারবিন শহরে শুরু হয় বার্ষিক ‘স্নো অ্যান্ড আইসফেস্টিভ্যাল’। তৈরি করা হয় বিশাল বরফের দুর্গ আর নানা ধরণের ভাস্কর্য।
রাতে বেলায় রঙিন আলোকচ্ছটায় বরফের এসব স্থাপনা হয়ে উঠে আরও বর্ণিল।হারবিনের পথে হাঁটতে হাঁটতে দর্শনার্থীরা চোখ জুড়ায় অসাধারণ সব বরফের অট্টালিকা আরআলোর খেলা।
এলাকাভেদে ভিন্ন ভিন্ন প্রদর্শনীর জন্য প্রবেশমূল্য ভিন্ন। দর্শনার্থীরানির্দিষ্ট টিকেট মূল্যের বিনিময়ে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
করোনার কারণে এবারও কিছুটা ছোট পরিসরে চলছে উৎসব। আর পর্যটকদের প্রবেশেদেখাতে হচ্ছে করোনা মুক্ত সনদ।
এ বছরের ডিজাইন করা হচ্ছে শীতকালিন অলিম্পিককে লক্ষ করে। অলিম্পিকও প্যারা অলিম্পিকের জন্য তৈরি করা হয়েছে নানা ধরণের মাস্কট।
এবারের উৎসবের কেন্দ্রে আছে টাওয়ার শেপের বরফের ভাস্কর্য। যা অলিম্পিকেরমশালকে প্রতিনিধিত্ব করছে। পর্যটকদের জন্য ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত চলবে এই বরফের উৎসব।
১৯৬৩ সাল থেকে চীনের এই শহরে হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব। একবারইউৎসবে ছেদ পড়েছিল চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়।
তখন অনেক বছরের জন্য এই উৎসব বন্ধ হয়ে যায়। আবার পুরোদমে এই জনপ্রিয়উৎসব শুরু হয় ১৯৮৫ সালে।
বরফের এই নগরী গড়ে তুলতে হাজার হাজার বরফের ব্লক তুলে আনা হয় শীতেজমাট বেঁধে যাওয়া এক কিলোমিটার বিস্তৃত সনঘুয়া নদী থেকে।
আয়তনের হিসেবে প্রায় ৮০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে চলে এই উৎসব। আরতৈরি হয় দুই হাজারেরও বেশি বরফের ভাস্কর্য।