অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতির কারণে তুরস্কে বেড়ে গেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎসহ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ঘোষণায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
এ অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিভিন্ন শহরে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী আঙ্কারায় বিদ্যুৎ বিলের কপিতে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করে প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ দিয়াবাকিরে রাস্তায় নেমে বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা।
এদিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলসহ ১১টি নগরীর মেয়র জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সরকারের প্রতি। জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে নগরবাসীকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ার কথা বলছেন তারা।
অন্যদিকে অব্যাহত প্রতিবাদের মুখে শিগগিরই বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে নতুন পদক্ষেপের ঘোষণার কথা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন।
সরকারি হিসাবেই জানুয়ারিতে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে তুরস্কের মূল্যস্ফীতি। করোনাভাইরাসজনিত অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের অর্থনৈতিক নীতিকে।
মুদ্রা লিরার ব্যাপক অবমূল্যায়ন এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে কমেছে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের জনপ্রিয়তা। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে দেশটির সাধারণ নির্বাচন।