করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিনে কোভিড-১৯ টেস্ট করা হলে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাংলাদেশে এসেই কোচিং ব্যস্ততার মধ্যে মারণ ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এখন আসন্ন বাংলাদেশ-আফগান সিরিজে তাকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় বিসিবি।
২০১১ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। ১১ বছর পর গেল সপ্তাহখানেক আগে আবারও ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় পা রাখেন। যদিও সদ্য সরে দাঁড়ানো ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স জমানায় তার দায়িত্ব কী হবে সেটি নিয়ে একটা সংশয় ছিল। তবে হঠাৎ করে প্রিন্সের পদত্যাগ যেন বিসিবির সব ধাঁধার উত্তর দিয়ে দেয়। ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিডন্সকে। বাংলাদেশে নতুন অধ্যায়ের শুরুটাই বাধাপ্রাপ্ত হলো করোনায়। বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিক নয়। তবে বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে বিষয়টি। আপাতত নিয়ম মেনে আইসোলেশনে আছেন এই অজি কোচ।
এদিকে, ঢাকায় পা রাখার পর থেকেই বিসিবির দায়িত্ব বণ্টন পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি, বাক্সোপেটরা হোটেলে রেখে নেমে পড়েছেন মিশনে। এতদিন বিপিএলে শিষ্যদের পারফরম্যান্স পরখ করছিলেন। এবার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পাওয়ার পর মিরপুরের একাডেমি মাঠ ও ইনডোর ঘুরে দেখেন।
টিম টাইগার্সের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিতে সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশে এসেছিলেন জেমি সিডন্স। তবে সাকিব-তামিমদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে আগে থেকেই চুক্তি থাকা অ্যাশওয়েল প্রিন্স জমানায় সিডন্সের কাজের ক্ষেত্র কী হবে, সেটি নিয়ে একপ্রকার ধোঁয়াশা ছিল। তবে আকস্মিকভাবে প্রিন্সের পদত্যাগের পর যেন দরজা খুলে যায় সিডন্সের। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, অ্যাশওয়েল প্রিন্সের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন জেমি সিডন্স।
গণমাধ্যমকে পাপন বলেন, সিনেয়র ক্রিকেটার ও বোর্ড পরিচালকদের সমর্থন ছিল সিডন্সের ব্যাপারে। আর তাই তাকেই আমরা জাতীয় দলের জন্য বেছে নিয়েছি। এদিকে, পেস বোলিং ও ফিল্ডিং ইউনিটের জন্য মানসম্মত কোচ খোঁজ করা হচ্ছে। তবে আপাতত আফগানিস্তান সিরিজের আগে বিদেশি কাউকে আনা সম্ভব না। আর তাই আগে থেকেই পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে থাকা চাম্পাকা রমানায়েকে আপাতত দায়িত্ব সামলাবে।
বিসিবি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার আগে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন সিডন্স। বিপিএলে শিষ্যদের পরখ করে রাখছেন। এই ব্যাস্ততার মাঝেই করোনায় আক্রান্ত হলেন এই অস্ট্রেলিয়ান। এখন আফগান সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন কিনা এটাই দেখার বিষয়। এর আগে ২০০৭ থেকে চার বছর বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্বে ছিলেন জেমি সিডন্স।