প্রায় এক মাস পর করোনা শনাক্তের হার অর্ধেকে নেমেছে। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ কমছে কি না, জানতে সময় লাগবে আরও দুই সপ্তাহ। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার পরামর্শ তাদের।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা। রাজধানীর মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে কদিন আগেও যেখানে রোগী আর স্বজনদের আনাগোনা ছিল, হাসপাতালের সামনে এখন পুরোটাই ফাঁকা। কুর্মিটোলা করোনা হাসপাতালের চিত্রও একই। ৩০০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন অর্ধেকেরও কম রোগী।
পরিসংখ্যান বলছে, টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় রোগী শনাক্ত ১০ হাজারের নিচে। মৃত্যুর সূচকও কমতির দিকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওমিক্রনের প্রভাবে দেশের করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। ১৬ জানুয়ারির পর শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে ৩০-এর উপরে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা দুই সপ্তাহ শনাক্তের সূচক এভাবে কমতে থাকলে তবেই একে নিম্নগামী বলা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, ‘করোনা যদি কমতেই থাকে, তবে দুই সপ্তাহ পর আমরা মনে করব নিয়ন্ত্রণে আসছে। তাই সরকার যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেগুলো যে অবস্থায় চলছে, তা মনিটরিং করা দরকার।’
দেশে করোনার লাগাম টানতে টিকা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ডা. মোজাহেরুল হক আরও বলেন, ‘দুটি টিকার পর বুস্টার ডোজ নিয়েও কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই আমাদের দেশের প্রত্যেককেই বুস্টার ডোজের আওতায় আনতে হবে। তারপর আমরা গবেষণা করে বুঝতে পারব, এই ইমিউনিটিটা আমাদের মাঝে কতদিন থাকবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ধরা হয়।