নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত। বাজারে নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের কাছে সবাই যেনো অসহায়। চাল ডাল তেলের মতো পণ্য যা ছাড়া জীবন চলে না- সপ্তায় সপ্তায় বাড়ছে সেসবের দাম।
সেই সঙ্গে চোখ রাঙ্গাচ্ছে গ্যাস পানির দাম। পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, গেলো বছর যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ হতো এখন সেটির দাম হয়েছে প্রায় ১০৭ টাকা।
চড়া বাজারে অস্বস্তিতে স্বয়ং পরিকল্পনামন্ত্রীও। স্বীকার করেছেন, বাজার সহনীয় রাখতে সরকারের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হচ্ছে।
কাজের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন রাজধানীর বস্তিতে থাকা এক বয়স্ক দম্পতি। কিন্তু কাজ মেলেনি। তাই দুপুরে পান্তা খেয়েই উদোরপূর্তি করেছেন।
আবার, মিরপুর আনসার ক্যাম্পের বাসিন্দা আকলিমা খাতুনের মুখে চিন্তার ভাজ। দুই কামরার বাসাভাড়া আর টানতে পারছেন না। তাই এক কামরা সাবলেট দিয়েছেন।
প্রতিদিনের বাজার কেড়ে নিচ্ছে তার সব আয়। সন্তানদের পড়াশোনা তাই তার কাছে বিলাসিতা মাত্র। উল্টো চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সন্তানদের কাজে পাঠাতে।
নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত, করোনা মহামারি কেড়ে নিয়েছে কমপক্ষে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান। তারওপর বাড়তে থাকা পণ্যের দাম যুক্ত করছে নতুন ব্যয়। আগে যে পন্য কিনতে খরচ হতো একশ টাকা। এখন তার খরচ প্রায় একশ সাত টাকা।
মানুষ যে কষ্টে আছে তা মানছেন স্বয়ং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানও। কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে সরকারও। কিন্তু সফল না হবার কারণটাও স্পষ্ট করলেন মন্ত্রী।
বাজারের বেহাল পরিস্থিতির অন্যতম কারণ টালমাতাল বিশ্ববাজার। যার ওপর সরকারের নেই কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
কিন্তু দেশে উৎপাদিত পণ্য বাজার নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রির আশা, ব্যবসায়ীরা তাদের অতি মুনাফার লাগাম টেনে ধরুক। ব্যবসায়ীরা কি মন্ত্রীর সেই আশা পূরণ করবেন, সেটিই কোটি টাকার প্রশ্ন।