বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে জটিলতা শেষ হয়নি। জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদটি আপাতত শূন্য রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ওই পদে স্থিতাবস্থা জারি করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। আজ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে শুনানি এক দিন পিছিয়ে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নির্ধারণ করেছেন আদালত। সেখানেই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে–কে হচ্ছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে আবেদন করেন নিপুণ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যদিকে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আহসানুল করিম, নাহিদ সুলতানা ও মজিবুল হক ভূঁইয়া।