ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চাঙ্গা বিশ্বের ফুলের বাজার। করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় এবারের ভালোবাসা দিবসে হাসি ফুটেছে বিশ্বের ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীদের মুখে। তবে সাপ্লাই চেন সংকটের কারণে এবার বেশি দামে ফুল কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
ভালোবাসা দিবসে এবার চাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের ফুলের বাজার। এবার ভালোবাসা দিবসে শুধু ফুল কিনতে গড়ে ১৭ ডলার খরচ করছেন মার্কিন ভোক্তারা। এ বছর দিবসটিতে শুধু ফুল কিনতেই মার্কিন ভোক্তারা ব্যয় করছেন ২৩০ কোটি ডলার। ২০২১ সালে যার পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ডলার।
এদিকে ভালোবাসা দিবসে ইউরোপে ফুলের চাহিদা বাড়ায় হাসি ফুটেছে তুরস্কের ফুল উৎপাদকদের মুখে। শুধু এ দিনটি সামনে রেখে বিশ্বের ২৪ দেশে ছয় কোটি পিস ফুল রফতানি করেছেন তুরস্কের ফুল উৎপাদকরা। ২০২১ সালে ফুল রফতানি করে দেশটি ১৫ কোটি ডলার আয় করেছিল। ফুলের বাজার চড়া হওয়ায় এবার তাদের প্রত্যাশা ১৮ কোটি ডলার আয় করার। আর এই রফতানির বেশিরভাগই হয় ১৪ ফেব্রুয়ারির ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে।
ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে ব্যস্ত কলম্বিয়ার ফুল চাষিরাও। কলম্বিয়া থেকেই উত্তর আমেরিকার বাজারে সবচেয়ে বেশি ফুল সরবরাহ হয়। ভালোবাসা দিবসে ২৬ কোটি ডলারের ফুল রফতানি করেছে দেশটি। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে ৭০ কোটি পিস ফুল রফতানি করেছে কলম্বিয়া। গত বছর ফুল রফতানি থেকে কলম্বিয়ার আয় ছিল দেড়শ কোটি ডলার।
এদিকে সাপ্লাইচেন সংকটের কারণে প্রিয় মানুষকে উপহার দিতে চড়া দামে ফুল কিনতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দাদের। ভালাবাসা দিবসকে সামনে রেখে প্রতি ডজন গোলাপের দাম উঠেছে ১৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে। দেশটির অনলাইন ফুল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠা মি. রোসেজ ৬টি গোলাপের একটি বক্স বিক্রি করছে ৯৯ ডলারে।
ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ক্রয়াদেশ বেড়ে যাওয়ায় কার্গো ফ্লাইটের সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন কেনিয়ার ফুল উৎপাদকরা। কেনিয়া থেকে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ফুল রফতানি হয়। ইতোমধ্যেই ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ও কাতার এয়ারওয়েজ এর অতিরিক্ত ফ্লাইট বুক করেছে দেশটির ফুল রফতানিকারকরা। গত বছর ফুল রফতানি থেকে কেনিয়ার আয় ছিল ১ বিলিয়ন ডলার।