গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল। দোষী সাব্যস্ত হলে বিপুল অংকের জরিমানা গুণতে হতে পারে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাভার্সকে।
ফেসবুকে থাকা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির সাহায্যে টেক্সাসের বাসিন্দাদের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তাদের অজান্তেই ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা তা ব্যবহার করছে নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে। মামলায় এমনই অভিযোগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন।
ব্যবহারকারীদের ফেসবুকে আপলোড করা ছবি ও ভিডিও থেকে এসব বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ফেসবুক। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসব তথ্য মুছে ফেলতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে মেটার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন বলেন, ব্যবহারকারীদের জানানো হয় নি, ফেসবুক তাদের বায়োমেট্রিক পরিচয় সংগ্রহ করছে। বিশেষ করে গ্রাহকদের চেহারার বিবরণ। এটা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি তারা এসব তথ্য বাণিজ্যিক স্বার্থে অন্যদের কাছে সরবরাহ করছে, এটাও রাজ্যের আইনের লঙ্ঘন।
এদিকে মামলার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেটার মুখপাত্র। তবে এ মামলায় ফেঁসে গেলে বিপুল অংকের জরিমানা গুণতে হতে পারে মেটাকে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মেটার কাছে কয়েকশ কোটি ডলার চাইতে পারে টেক্সাস কর্তৃপক্ষ। টেক্সাসের দুই কোটিরও বেশি বাসিন্দার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
আগেও ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে হওয়া অনুরূপ মামলায় ৬৫ কোটি ডলার জরিমানা দেয় ফেসবুক।
সমালোচনার মুখে গত বছরের নভেম্বর মাসে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ফেসবুক। পাশাপাশি তাদের সংগ্রহে থাকা শত কোটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য মুছে দেওয়ার কথাও জানায় তারা।