ভ্যাকসিনবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে কানাডাজুড়ে প্রথমবার জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
একইসঙ্গে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এদিকে ট্রাকচালকদের অবরোধ কর্মসূচি রুখে দিয়েছে কানাডার পুলিশ।
টানা তৃতীয় সপ্তাহে পড়েছে কানাডায় ভ্যাকসিনবিরোধী বিক্ষোভ। রাজধানী অটোয়াতে নেচে-গেয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। স্থানীয় সময় সোমবার ‘ফ্রিডম কনভয়’-এর ব্যানারে এই বিক্ষোভ চলে।
এদিকে ‘ফ্রিডম, ফ্রিডম’ বলে স্লোগান দিতে থাকা স্বঘোষিত ‘মিস্টার ফ্রিডম’ নামের এক ব্যক্তি গত দুই বছরে করোনায় হারানো তার বন্ধুদের জন্য, স্বাধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত দুই বছরে আমার অনেক বন্ধু তাদের চাকরি হারিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার এমন অনেক বন্ধু আছে, যারা চাকরি হারিয়ে এই আন্দোলনে এসে আমার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। যতদিন পর্যন্ত না টিকা দেওয়ার বাধ্যবাধ্যকতা তুলে নেওয়া হবে, ততদিন আমি বাড়ি ফিরবো না এবং ‘ফ্রিডম, ফ্রিডম’ বলে স্লোগান দিয়েই যাব।
গেল এক সপ্তাহ ধরে করোনার টিকা ও বিধিনিষেধবিরোধী ট্রাকচালকেরা কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংযোগকারী অ্যাম্বাসেডর ব্রিজটি অবরোধ করে রেখেছিলেন। শুক্রবার অবরোধ তুলে নিতে আদালত নির্দেশ দিলেও বিক্ষোভকারীদের একাংশ অবস্থান করছিলেন সেখানে। অবশেষে রোববার পুরোপুরিভাবে অবরোধকারীদের হটিয়ে দিতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের দমাতে এবার তাদের ব্যাংক এ্যাকউন্ট জব্দ করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুধু তাই না, প্রয়োজনে আদালতের সমর্থন ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের সমস্ত ফান্ডিং বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, স্থানীয় সময় সোমবার চলতি বছরে খুন হওয়া ৫ সাংবাদিকের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন সাংবাদিকেরা।
গত এক সপ্তাহে তিজুয়ানার বর্ডারে আরও দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চরম অবনতির জন্য দেশটিতে সাংবাদিকদের এমন বেহাল দশা বলে নিন্দা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সাংবাদিকদের দাবি, তারা দেশের শত্রু নন, জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে নির্ভয়ে তারা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে কাজ করতে চান।