প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (এটিএমএ)। সেই সঙ্গে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরামূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণসহ সব তামাকজাত পণ্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে তারা।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতিত্বে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এসব দাবি জানিয়েছে এটিএমএ।

এসময় সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব দাবি বাস্তবায়ন হলে অতিরিক্ত ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। সেই সঙ্গে চার লাখ ৪৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ও চার লাখ ৪৮ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠীর অকাল মৃত্যু রোধ হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিগারেটের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে প্রায় একইরকম রয়েছে। করের ভিত্তি এবং করহার খুবই কম হওয়ায় সিগারেট, বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য (জর্দা ও গুল) অধিক সহজলভ্য থেকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বর্তমান তামাকজাত পণ্যের কর অত্যন্ত জটিল, যা দাম বাড়ানোর মাধ্যমে তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণে যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে সংস্থাটি জানায়, বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাকজাত পণ্য (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করেন। এতে দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে।

সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, তামাকজনিত স্বাস্থ্য ব্যয় যে অনেক বেশি, তা আমরাও জানি। কর ও দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আরও অন্যান্য বিষয় জড়িত রয়েছে। তবে আমরা চাই, তামাক ব্যবহার কমে আসুক। অন্যান্য খাত থেকে আমাদের রাজস্ব আসবে। সবদিক ভেবেই এটিএমএ এর প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হবে।

সভায় অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স যেসব দাবি তুলে ধরে সেগুলো হচ্ছে-

৮. প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরামূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ২৭ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরামূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা;