ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান ছাড়া কোনো উপায় দেখছেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, ন্যাটোতে যোগদান করাটা তার দেশের জন্য সহজ হবে না। তবু এটা ছাড়া অন্য কোনো পথ তিনি দেখছেন না।
ন্যাটোর সদস্যপদ প্রশ্নে কোন ধরনের আপোষের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার প্রশ্ন এর সঙ্গে জড়িত।
এছাড়া ন্যাটোর সদস্যপদ প্রশ্নে কোন জাতীয় গণভোটের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়টি ইউক্রেনের জাতীয় সংবিধানেই অন্তর্ভুক্ত।
রাশিয়া বরাবরই ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের বিরোধিতা করে আসছে। বৃহস্পতিবারও এ নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ এক শীর্ষ কূটনীতিক।
তিনি বলেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগ দেয়ার আগ্রহের সমর্থন করে না রাশিয়া। কারণ, রুশ সীমান্তে এ জোটের (ন্যাটো) উপস্থিতি রাশিয়ার নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
মঙ্গলবার বাইডেন এ বিষয়ে বলেছেন, কোনো ভুল নেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পূর্ণ শক্তি দিয়ে ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করবে।
তিনি বলেন, ন্যাটোভুক্ত একটি দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ মানে আমাদের সকলের বিরুদ্ধে আক্রমণ। ইউক্রেনের কোনো আমেরিকানকে যদি রাশিয়া লক্ষ্য করে, তাহলে আমরা এর জবাব দেব।
পুতিন ইউক্রেনের বাইরে আগ্রাসন প্রসারিত করতে পারে এমন ভুল বোঝাবুঝির ফলেও একটি খণ্ড যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর একবার লড়াই শুরু হলে তা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। পশ্চিমা বিশ্বের দাবি, যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা শুরু করবে দেশটি। এ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু রাশিয়া বারবারই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে তারা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও উত্তেজনা প্রশমনে রাশিয়া স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সীমান্ত থেকে কিছুসংখ্যক সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।