সব গল্পের শেষে যেমন হ্যাপি ইন্ডিং হয় না তেমনি অনেক খ্যাতনামিদের জীবনেও সব গল্পে সুখের সমাপ্তি ঘটে না। কিছু প্রেম কাহিনি থেকে যায় অপূর্ণ। বলিউডে বেশ কয়েকজন তারকা রয়েছে যারা তাদের প্রেমের সম্পর্ককে নিয়ে গিয়েছিলো বাগদান পর্যন্ত। তবে বাগদান থেকে আর বিয়ে পর্যন্ত যায়নি।
‘হা ম্যানে ভি পিয়ার কিয়া’ সিনেমার সেটে আলাপ হয় অভিষেক বচ্চন এবং কারিশমা কাপুরের ৷ দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন অমিতাভপুত্র এবং রণধীরকন্যা। অমিতাভের ৬০তম জন্মদিনে তাদের বাগদান হওয়ার কথা। আশীর্বাদের চার মাস পর আচমকাই আলাদা হয়ে যায় দু’জনের পথ। কারণ অবশ্য জানা যায়নি। এর পর কারিশমা ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন তারা। অভিষেক বর্তমানে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সুখে সংসার করছেন।
বলিউড ভাইজান ভাইজান সালমান খানের সঙ্গে একাধিক নায়িকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও কোনটিই বিয়ে পর্যন্ত বিয়ে পর্যন্ত গড়াইনি। শোনা যায়, সালমান খানের সঙ্গে সঙ্গীতা বিজলানির বাগদান হয়েছিলো। সালমানের নাকি অভিনয়জীবন তখন সবে শুরু। সঙ্গীতার প্রেমে হাবুডুবু খেতেন ‘ভাইজান’। তাদের আশির্বাদ হয় সেই সঙ্গে নিমন্ত্রণ পত্র ছাপা হয়ে গিয়েছিলো। তার পর বাগদানের অনুষ্ঠান বাতিল হয়।
বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে মডেল গুরপ্রীত গিলের সম্পর্ক বলিউডে বেশ পরিচিত ছিল ৷ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দু’জনকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত। ভক্তরা ভাবতে শুরু করেছিলেন যে তাদের প্রেম হয়তো পূর্ণতা পাবে। যদিও বিবেক বা গুরপ্রীত কখনও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি।
৯০ দশকে বলিউডে অন্যতম পাওয়ার কাপল জুটি ছিলো অক্ষয় কুমার ও রবীনা ট্যান্ডন। শোনা যায়, তিন বছর সম্পর্কের পর দু’জনে নাকি গোপনে বাগদানও সেরেছিলেন। কিন্তু এই প্রেম শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা পায়নি৷
‘বিগ বস’ চলাকালীন কাছাকাছি আসেন উপেন পটেল এবং কারিশমা তান্না। ভারতের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘নাচ বলিয়ে’র মঞ্চে কারিশমা এবং উপেনের বাগদানও হয়। ভক্তরা অপেক্ষা করছিলেন কবে তারা বিয়ের খবর পাবেন। এমন সময়ে হঠাৎই তাদের সম্পর্ক ভেঙে খানখান। কারিশমা তান্না বর্তমানে বরুণ বঙ্গেরার সঙ্গে সংসারে মন দিয়েছেন।