যশোরের কেশবপুরে অভিযান চালিয়ে নারীসহ দুই তক্ষক পাচারকারীকে আটক করেছে খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেশবপুরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মো. আব্দুল হালিম (৫০) ও আকলিমা গোলদার লিপি (৩৫)।
অভিযানে অংশ নেওয়া বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পালের সার্বিক নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে চারটি তক্ষকসহ আব্দুল হালিম ও আকলিমা খাতুন নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পাচারকারীদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা করে মোট ১২ হাজার জরিমানা করেন।
তক্ষক সম্পর্কে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা বলেন, তক্ষক (Gecko) গিরগিটি প্রজাতির র্নিবিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরনো বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোকড় ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।
তিনি আরও বলেন, তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোকেরা রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। মূলত ব্যাপক নিধনই তক্ষক বিলুপ্তির প্রধান কারণ। এছাড়া তক্ষক দ্বারা তৈরি বিভিন্ন ওষুধের উপকারিতা নিয়ে যা শোনা যায়, বৈজ্ঞানিকভাবে তার কোনো ভিত্তি নেই। তারপরও এই গুজবটির কারণেই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।