বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাদের বর্তমান কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, পতনের শেষ শিখা জ্বলে উঠছে। সরকার কখন নিভে যাবে তা তারা নিজেরাও টের পাবে না। অচিরেই সরকারের পতন হবে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ‘কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে পুলিশের হামলা, গুলিবর্ষণ এবং নারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বেতন জনগণের টাকায় হয়, সরকার দেয় না। তারা যা খুশি তা করতে পারেন না। কেরানীগঞ্জ থানার ওসির মুখ দিয়ে যে বক্তব্য বেরিয়েছে অতি সাম্প্রদায়িক। আওয়ামী লীগের একমাত্র ভরসা তো হচ্ছে হিন্দুদের ভোট। ‘মালাউন’ বললে তো হিন্দুদেরই বুঝানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের পোশাক পরিধানকারী ওসির মুখ থেকে এ ধরনের বক্তব্য গর্হিত কাজ। এখন তার পোশাক পরার অধিকার আছে কি না, এটা বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা কুমিল্লার ঘটনা দেখেছি। সেখানে পুলিশ বক্তব্য দিয়ে কীভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। আমরা সে ধরনের পরিস্থিতি চাই না। কেরানীগঞ্জের ঘটনার দায় সরকারকে বহন করতে হবে। সেটা পুলিশ হোক, ছাত্রলীগ হোক বা যুবলীগ হোক। সেখানকার জনপ্রতিনিধিকে এর জবাব দিতে হবে।
বিএনপি নেতার বাড়িতে তার অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে দেখতে যেতে চেয়েছিল অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ নেতাকর্মীরা। তাদের ওপর হামলা হয়েছে। ৮৫ বছরের নারীর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। নারীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। শত শত মানুষ আহত হয়েছে। নারী নির্যাতনের নির্লজ্জ চিত্র সারা বিশ্বে ফুটে ওঠেছে। এটি আরেকটি জ্বলন্ত উদাহরণ। পুলিশের হুমকিতে আমরা বসে থাকব না। সাংবিধানিক অধিকার সভা-সমাবেশ করার। যারা বাধা দেয় তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছে।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসির বক্তব্যের বিচার দাবি করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যদি এর বিচার না করেন তাহলে জনগণ এর বিচার করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।