ছবি: সংগৃহীত
ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই সব তথ্য। ব্যায়ামের সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কতটুকু সম্পর্কযুক্ত, গবেষণাটিতে সেটির ওপরই বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীর ৬৬ শতাংশ নারী ছিলেন। গবেষণাটি করা হয়েছে ১৯৮৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, যেখানে গবেষকরা ৩ হাজার মানুষকে পর্যবেক্ষণ করেন। অংশগ্রহণকারীর সবাই সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারবার সাইকেল, জগিং ও সাঁতারের মতো ব্যায়ামে অভ্যস্ত ছিলেন।
গবেষণার ফল হিসেবে গবেষকরা খেয়াল করেন, নিয়মিত এক্সারসাইজ করার মাধ্যমে সবারই উন্নতি হয়েছে। যারা এরোবিক এক্সারসাইজ যেমন: হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার, সাইকেল চালানো ইত্যাদি করেছেন, তাদের সব থেকে বেশি লাভ হয়। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে তারা যেটি লক্ষ করেন সেটি হলো, ৫৫-৬৮ বছর বয়স্কদের মস্তিষ্কের বেশি উন্নতি দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে ৬৯-৮৫ বছর বয়সীদের মধ্যে উন্নতি হয়েছে সামান্য কম।
এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মস্তিষ্কে নিউরন মারা যায় না। যার ফলে স্মৃতিও অক্ষুণ্ন থাকে। তারা আরও বলেন, সপ্তাহে মাত্র তিনবার এক্সারসাইজ পরপর চার মাস করতে পারলেই এই সুফল পাওয়া সম্ভব।
শরীর সুস্থ ও মস্তিষ্কের স্মৃতির উন্নতিতে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা উচিত। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়স্কদের জন্য এই ব্যায়াম হয়ে ওঠে অতি প্রয়োজনীয়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হাঁটা থেকে শুরু করে সাইকেল চালানো, সাঁতার–যার যা ভালো লাগে, বেছে নিন একটি।