রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বীকৃতি পাওয়ার পর আনন্দের বন্যা বইছে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোর কিছু মানুষের মধ্যে। অন্যদিকে সামনে কি ঘটবে সেই আশঙ্কায় শঙ্কিত আরেকদল মানুষ।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাদের নেতাদের সাথে মিত্রতা চুক্তি সই করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ পদক্ষেপের ফলে ওইসব অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে রাশিয়ার আর কোনো বাধা রইলো না।
এ ঘোষণার পর রাশিয়ার তেরঙ্গা পতাকাবাহী ডজনখানেক গাড়ি আনন্দমিছিল করে ডনবাসের রাস্তায়।
আর কিছু মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনেই ব্যস্ত ছিলেন, যেন কিছুই হয়নি।
পুতিনের এই পদক্ষেপের সাথে সাথে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে পশ্চিমা বিশ্ব। ইতোমধ্যে পাঁচটি রাশিয়ান ব্যাংক ও তিন রাশিয়ান সম্পদশালী ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য।
সেইসাথে রাশিয়াকে নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প চালুর অনুমোদন না দেয়ার কথা জানিয়েছে জার্মানি।
তবে দোনেৎস্কের বহু অধিবাসীর জন্য, এটি ছিল বহুল প্রতীক্ষিত এক স্বীকৃতি। সেখানকার রাশিয়া সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর সাবেক সদস্য দিমিত্রি বলেন, ‘আমি ও আমার কমরেডরা যে রক্ত ঝরিয়েছি সেগুলো বিফলে যায়নি।’
রাশিয়ান সেনাবাহিনীর আগমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলে জানান তিনি।
আরেক বাসিন্দা ইরিন বলেন, ‘রাশিয়ার এ সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবে কী প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা অনেকেই ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না।’
আসলেই রাশিয়া সেনা মোতায়েন করলে তার বিরোধিতা করেও কোনো লাভ হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই। কেননা, শক্তি ও ক্ষমতার দিক থেকে ইউক্রেনের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে আছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিনে বিচ্ছিনতাবাদী প্রশাসন কর্তৃক হাজার হাজার নারী ও শিশুকে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে অনেকের মনে।