আটককৃত ভুয়া আসামি ও কর্মচারী ফাহিম আহম্মেদ
রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা ৬১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার প্রতারণা মামলায় ভুয়া আসামি ধরা পড়েছে। ফাহিম আহম্মেদ নামের ওই আসামি চট্টগ্রামের কর্নফুলি থানার উত্তর বন্দর আনেয়ারা এলাকার ফিরোজ আহম্মেদের ছেলে। ফাহিম তার অফিসের মালিক মেসার্স নবাব অ্যান্ড কোম্পানির স্বতাধিকারী নবাব খানের বদলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, মেসার্স নবাব অ্যান্ড কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী নবাব খান বিসিআইসির গুদামে ইউরিয়া সার সরবরাহের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তা রক্ষা করেননি। এতে কৃষকরা ইউরিয়া সারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর আগে বিসিআইসির গুদামে ইউরিয়া সার পৌঁছানোর জন্য আসামি নবাব খানকে বারবার বলা হলেও সে গুদামে সার সরবরাহ না করে প্রতারণার মাধ্যমে ৬১৯ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪১৯ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির করপোরেশন (বিসিআইসি) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইফুল আলম বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার শুনানির সময় আসামি সম্পর্কে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর সন্দেহ হলে আসামির নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় আসামি ঠিকভাবে উত্তর দিতে পারেননি। পরিচয়পত্র দেখাতে বললে সেটিও দেখাতে ব্যর্থ হন। তখন আসামির অসংলগ্ন কথাবার্তায় বিচারক তাকে ভুয়া নবাব খান হিসেবে শনাক্ত করেন। পাশাপাশি আদালত সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আরও যাচাই করার নির্দেশ দেন।
পরে ভুয়া নবাব খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সাংবাদিকদের জানান ঢাকার সিএমএম আদালতের নাজির মো. রেজোয়ান খন্দকার।