চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা পাঠানোর ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। এরই মধ্যে রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
পশ্চিমের দেশগুলো মনে করছে বড় অভিযানের একরকম পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবেই পুতিন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই নিষেধাজ্ঞার দিকে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এক্ষেত্রে কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তা এখনও বলা হয়নি। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল অনেকদিন থেকেই মস্কো-সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই পুতিনের এই ঘোষণাকে ‘নতুন হামলা’ বলা যায় না। আর তাই দরকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
এছাড়া যেকোনো সময় আরও বড় ধরনের সামরিক অভিযান আসতে পারে বলেও জানান তিনি। এমনকি ইউক্রেন সংকট নিরসনে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের যে আলোচনা হচ্ছিল তাও বাতিল হতে পারে।
এদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রাশিয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে তাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে একত্রিত হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও জানিয়েছেন বাইডেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কীভাবে তাদের প্রতিক্রিয়াকে একটি গঠনমূলক রূপ দেয়া যায় তা নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং জার্মানির চ্যান্সেলরের সঙ্গে আলোচনা করছেন বাইডেন।