বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করলেই দেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এক্ষেত্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে।
মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিশেষ প্রথম ডোজ করোনা টিকা দেয়ার কর্মসূচি উপলক্ষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। আগামী শনিবার এই কর্মসূচি চালানো হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, একদিনের এই বিশেষ কর্মসূচিতে গ্রামীণ এলাকায় ১৬ হাজার এবং শহর এলাকায় আট হাজার ৫০০টি কেন্দ্র থাকবে।
যেখানে ৭০ হাজারের বেশি টিকা দানকারী ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। এদিনে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার চেষ্টা করা হবে। প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজও দেয়া হবে।
ওই দিন টিকা নেয়ার জন্য কারো কোনো নথি বা পূর্ব নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। এক কোটি ডোজ দেয়ার পরও টিকা কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজন হলে প্রথম ডোজ টিকাও নেয়া যাবে।
মন্ত্রী বলেন, ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও কোনো সুপারিশ করেনি। অনুমোদন দিলে বাংলাদেশও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে দেশে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩৩ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে।
এই সংখ্যা আমাদের মোট জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৬১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪৬ শতাংশ মানুষকে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা দেশের অন্তত ৯০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। সে লক্ষ্যেই আমরা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী এক দিনে এক কোটি ডোজ টিকা দেবার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এটি সফল করতে সবাইকে টিকা নিতে এগিয়ে আসতে হবে।
টিকাদানে বাংলাদেশের ব্যাপক সফলতার কথা উল্লেখ করে মালেক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলেছে, ৬৫টি দেশের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে রয়েছে।
দেশের মানুষকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমার দেখেছি করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি।
কাজেই টিকা নেয়া অনেক জরুরি। আমাদের হাতে এখনো প্রায় ৯ কোটির মত টিকা রয়েছে। কাজেই টিকার কোনো অভাব হবে না বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন সাড়ে ১০ কোটি মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ সাড়ে ৭ কোটি। সব মিলে দেশের মোট ৮৫ শতাংশ মানুষ এসেছেন টিকার আওতায়।