লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই। কিন্তু প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বড় শক্তি তাদের বোলিং ইউনিট। চট্টগ্রামের সাগরিকায় সেটিই আরেকবার দেখা গেল।
১১ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিল আফগানিস্তানের। বাংলাদেশের ভাঙল ১৩ রানের মাথায়। ফজল হক ফারুকীর বল লিটন দাসের ব্যাটের কানায় লেগে গিয়েছিল উইকেটের পেছনে। উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহ গুরবাজ ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচটি তালুবন্দি করেন। যদিও প্রথম দফায় আম্পায়ার আউট দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে সফলতা পায় সফরকারীরা।
লিটন দাসের হতাশার দিনে হতাশা বাড়ালেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন তামিম। কিন্তু প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে পারলেন না।
ফজল হক ফারুকীর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন দেশসেরা ওপেনার। কিন্তু এবারও প্রথম দফায় আউট দেননি আম্পায়ার। আবারও রিভিউ, আবারও আফগানিস্তানের সফলতা।
লিটন-তামিমের পথ ধরলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমও। এবারও বোলার সেই ফজল হক ফারুকী। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৩ রান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফেভারিটের তকমা নিয়েই প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল সফরকারীরা। আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ জাদরান শেষপর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্ত তাসের ঘরের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৫ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান। তাদের সংগ্রহ ২১৫ রান। তবে এই রানটা দুইশও পেরোত না, যদি না নাজিবুল্লাহ একপ্রান্ত আগলে না রাখতেন। ৮৪ বলে তার ৬৭ রানের মূল্যবান ইনিংসে ভর করেই মান বেঁচেছে রশিদ-নবিদের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ রহমত শাহর। তিনি করেন ৩৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ সাফল্য মুস্তাফিজের। ৩টি উইকেট পান এ পেসার। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট তুলে নেন তাসকিন, শরিফুল এবং সাকিব।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই চার হাঁকিয়েছিলেন আফগান ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজ। তৃতীয় ওভারে সেই গুরবাজকেই চারের খেসারত দিতে হয়। মুস্তাফিজের বলে এগিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকমতো হয়নি। অনেক উঁচুতে ওঠা ক্যাচ মিড অনে ধরেছেন তামিম।
দলীয় ১১ রানে ভাঙে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারে ৭ রান দেওয়ার পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজ দিলেন মাত্র ৩ রান। এরপরের ওভারে কাটার মাস্টার দিলেন মাত্র ১ রান! মুস্তাফিজের বলে বেশ ভোগান্তিতে আফগান টপঅর্ডার।
তাসকিনের বল ডিপ স্কয়ার লেগে উড়িয়ে মেরেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু বলের দিকে না গিয়ে ক্যাচ নিজের কাছে আসার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়েই গড়বড় পাকিয়ে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। ফলাফল আরেকটি উইকেট পতনের সুযোগ পেয়েও হলো না। ক্যাচ মিস বাই মাহমুদউল্লাহ।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজকে চার মেরেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৩৭ বল পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে সেই ফিজের বলেই আফগান ইনিংসের দ্বিতীয় চারটি মারলেন রহমত শাহ।