পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দেশে এক কোটি ডোজ করোনা টিকা দিতে যাচ্ছে সরকার। এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীসহ সারাদেশের টিকাকেন্দ্রগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে টিকা নিয়ে জনমনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও টিকার টার্গেট পূরণ করতে আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টার খোলা রেখে ও প্রয়োজনে অতিরিক্ত কেন্দ্র/বুথ স্থাপনের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্র জানায়, এদিন টিকা নেওয়ার জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন দরকার হবে না। কেবল মোবাইল নম্বর দিয়ে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, কয়েকদিন ধরে টিকা কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণকারীদের ভিড় বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলিয়ে মোট টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৬১৪। তাদের মধ্যে প্র্রথম ডোজের টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৩। অর্থাৎ মোট টিকার অর্ধেকের বেশি সংখ্যক মানুষ প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানিয়েছিলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন’ হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, গণটিকার এ কর্মসূচি সফল করতে গ্রামাঞ্চলে ১৬ হাজারেরও বেশি এবং শহরাঞ্চলে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা) সাড়ে আট হাজারেরও বেশি অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। প্রায় ৭০ হাজার ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।