শরীরে যেন ময়ূরের পেখম আঁকা। উজ্জ্বল রঙের ছোট্ট এই মাকড়সাকে বলা হয় পিকক স্পাইডার।
উনিশ শতকে অক্টোভিয়াস পিকার্ড কেমব্রিজ নামের এক কীটতত্ত্ববিদ আবিষ্কার করেন মাকড়সাটি। পিকক স্পাইডারের বাংলা অর্থ ময়ূর মাকড়সা। দেখতে খানিকটা ময়ূরের মতোই।
খুদে প্রাণীটি দেখে আকৃষ্ট হবে যে কেউ। ঘন কালো চোখের ওপর রঙিন ভ্রু। সমান্তরাল নাক আর মুখ। মাথাভর্তি চুলসদৃশ সোনালি লোম। দেহের পেছন দিকটা কুচকুচে কালো। পুরুষ পিকক স্পাইডারের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা দেহত্বকের মাধ্যমে আলোক বিভ্রম তৈরি করে।
বিশেষ প্রজাতির এই মাকড়সাটি ছাড়াও ম্যারাটাসগনের অন্তর্ভুক্ত সব প্রজাতি কমবেশি বিষাক্ত। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকোটা ম্যাককয় তার গবেষণায় দেখিয়েছেন,
ম্যারাটাসগনের ভোলানস প্রজাতির এই মাকড়সাগুলোর পিঠের রঙিন ত্বকে কালো ছাপের কারণে এর গায়ের অন্যান্য রং অধিক আকর্ষণীয় দেখায়, যা থেকে তৈরি হয় আলোক বিভ্রম। পিকক স্পাইডারকে তুলনা করা হয় বার্ডস অব প্যারাডাইজ নামক এক প্রজাতির পাখির সঙ্গে।
এ ছাড়া এর ত্বকে পাখির দেহের বারবিউলের মতো একপ্রকার আঁশ থাকে। আলোক শোষণক্ষমতায় এরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এই মাকড়সার পিঠে পতিত আলো প্রতিফলিত হতে পারে ০.৫ শতাংশেরও কম। ফলে এর উজ্জ্বল আলো পড়লেও সেটি শোষিত হয়ে এমন এক আলোক শূন্যতার সৃষ্টি হয়। পিকক স্পাইডারকে আলোক বিভ্রম তৈরির নিখুঁত যান্ত্রিক কলাকৌশল এর দেহ বলা হয়।