২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। ১৩ বছর আগে ২০০৯ সালের এই দুই দিনে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনা। পিলখানা হত্যার ঘটনায় মারা যান ৫৭ সেনা সদস্যসহ মোট ৭৪ জন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা। পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৩ বছরে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শদীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান, রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব। ফুল দেয়া শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাদের পরিবারের সদস্যরা।
পিলখানার এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছিলো সারাদেশে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। বর্বরোচিত এই হত্যার ঘটনায় ১৩ বছর পার হয়ে গেলেও এখনও আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোনও মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
নিম্ন আদালত থেকে হত্যা মামলার রায় উচ্চ আদালত হয়ে এখন আপিল বিভাগে আটকে আছে। ২০০৯ সালের বর্বরোচিত এই ঘটনার পর দুটো ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। এরমধ্যে বিস্ফোরক মামলাটির শুনানি এখনও নিম্ন আদালতে চলছে। ২০১৩ সালের ৫ই নভেম্বর নিম্ন আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।