জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী এবং অন্য সন্ত্রাসী সংগঠন দেশের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যেন পারমাণবিক উস্কানির পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে এজন্য পারমাণবিক কেন্দ্রটি রক্ষায় সেটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ পারমাণবিক কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেন রাশিয়ার সৈন্যরা।
রাশিয়া জানিয়েছে, পারমাণবিক কেন্দ্রের আশেপাশে তেজষ্ক্রিয়তা বিকিরণের হার খুবই স্বাভাবিক এবং তাদের কর্মীরা পরিস্থিতি তদারক করছে।
বিবৃতিতে রাশিয়া আরও দাবি করেছে, তারা যুদ্ধে জয় লাভ করছে। তাদের সৈন্যরা দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি ইউক্রেনের সৈন্য আত্মসমপর্ণ করেছে এবং অসংখ্য সামরিক স্থাপনা, অস্ত্র ও যানবাহন ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী এর আগে একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছে যে, তারা দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে এবং রাশিয়ার সৈন্যরা হামলা করে সফলতা পায়নি। বরং তাদের নিজেদের এলাকায় হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো পক্ষের দাবিই নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এই সংঘাতে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা এই অঞ্চল দুটি দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক নিয়ে গত ৭ বছর ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সংঘাত বিরাজ করছে।
মস্কোপন্থী বিদ্রোহীরা ক্রেমলিনের সহায়তায় দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ইউক্রেন থেকে মুক্ত ঘোষণা করে। এরপর থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ক্রমাগত লড়াই চলছে।
গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সেই দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল দুটিকে একতরফাভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বলেছেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল। আমি মনে করি, দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিককে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি।’
তিনি অঞ্চল দুটিকে শুধু স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিই দেননি, সেখানে ‘শান্তি রক্ষার জন্য’ সেনা পাঠানোর ঘোষণাও দেন। পাশাপাশি, ‘স্বাধীন দেশ’ দুটির সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চুক্তি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।