রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোন ইউরোপীয় দেশে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটল।
রাশিয়ান সেনাদের হামলার প্রথম দিন ইউক্রেনের অন্তত ১৩৭ সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩১৬ জন। খবর আল-জাজিরার।
এমতবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেন্সস্কি পরিষ্কার জানিয়েছেন, রাশিয়ান বাহিনী ক্রমেই কিয়েভের দিকে এগোচ্ছে এবং তিনি যুদ্ধরত বাহিনীর সঙ্গে সেখানেই থাকছেন।
‘শত্রুরা আমাকে এক নম্বর টার্গেট বিবেচনা করছে’ এক ভিডিও বার্তায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি এমনটাই বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিবার তাদের দ্বিতীয় নিশানা। দেশটির প্রধানকে হত্যার মাধ্যমে তারা রাজনৈতিকভাবে ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায়।’
কিয়েভে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা জানান, রাশিয়ার রকেট কিয়েভকে আঘাত করছে। শেষবার আমাদের রাজধানী এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছিল ১৯৪১, সালে যখন জার্মানির নাৎসি বাহিনী আক্রমণ করেছিল।
টুইটারে তিনি আরও লেখেন, ইউক্রেন সেই ঘৃণ্যতাকে পরাজিত করেছিল। এবারও এটিকে পরাজিত করবে। পুতিনকে থামান। রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করুন। সব বন্ধন কঠোর করুন। রাশিয়াকে সব জায়গা থেকে বের করে দিন।
শুক্রবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির খবরে জানা গেছে, রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ভণ্ডুল করে দিয়েছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তারা শক্রুপক্ষের একটি বিমানও ভূপাতিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। রুশ আগ্রাসন থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের মেট্রোস্টেশন ও আশ্রয়শিবিরে মানুষের ঢল নেমেছে। প্রাণভয়ে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের পেছনে ছুটেছেন, কেউবা পালাচ্ছেন দেশ ছেড়ে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিতে সীমান্ত পাড়ি দিতে দেখা গেছে মরিয়া সাধারণ নাগরিকদের। এ অবস্থায় প্রধান প্রধান সড়কসহ সীমান্তগামী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।