ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চালানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেশটির উপর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিখাতে আরও কঠোর অবরোধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুম থেকে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধের পথ বেছে নেয়ায় এবার পুতিন এবং তার দেশের মানুষকে পরিনাম ভোগ করতে হবে। তবে তিনি আবারো বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামবে না যুক্তরাষ্ট্র।
বার বার অস্বীকার করে আসলেও, ইউক্রেনে ঠিকই আগ্রাসন চালালো রাশিয়া। অথচ শুরু থেকেই, সম্ভাব্য এই আগ্রাসনের গোটা দুনিয়াকে সতর্ক করে আসছিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘আক্রমণকারী’ আখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেছেন, তিনি যুদ্ধ বেছে নিয়েছেন। এবার তাকে পরিনাম ভোগ করতে হবে।
এর আগে, ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে রাশিয়ার ঘোষণার পর, একদফা অবরোধ আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার আগ্রাসন চালানোয় এলো আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ভিটিবি ব্যাংকসহ রাশিয়ান প্রধান চারটি ব্যাংকসহ ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ধনকুবের পড়েছেন এই নিষেধজ্ঞায়।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ থেকে দেয়া জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এসব নিষেধজ্ঞার প্রভাব হবে তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী। যার লক্ষ্য হবে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে আধুনিয়কানের পথ বন্ধ করা, মহাকাশ গবেষণায় তাদের অবস্থানের পতন ঘটানো এবং অর্থনৈতিকভাবে কোনঠাসা করা।
এ পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি জব্দ করা হচ্ছে। তবে পরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন রেখেছিলেন, কেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এখনই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হচ্ছে না। সেই সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত ‘সুইফট’ থেকে রাশিয়াকে বের করে দেয়ার প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, এসব করার সুযোগ ভবিষ্যতেও থাকবে।
এছাড়া রাশিয়াকে সহায়তার অভিযোগে বেলারুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধের প্রভাবে নিজ দেশে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন জো বাইডেন।