ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে তারা এক হাজারেরও বেশি রুশ সেনাকে হত্যা করেছেন।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আল-জাজিরার খবরে এ কথা বলা হলেও এই সংখ্যার সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদমাধ্যমটি।
এদিকে ইউক্রেনের এমন দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মস্কো।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনিস্ক। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে আমি বলতে চাই—ইউক্রেনের সর্বত্র লড়াই চলছে, সাধারণের মানুষের মৃত্যু বন্ধে চলুন আমরা আলোচনায় বসি।
এসময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, এই আগ্রাসন বন্ধে ইউরোপের শক্তিই যথেষ্ট। আমরা তাদের কাছে কী আশা করতে পারি—রাশিয়ানদের ভিসা বাতিল, সুইফট থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, রাশিয়াকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, রুশ কূটনীতিকদের প্রত্যাহার, তেল নিষেধাজ্ঞা ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া।
রাশিয়াকে থামাতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে বলে মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। ইউরোপীয় নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ঘরের বাইরে বের হয়ে যুদ্ধের বন্ধের দাবি করেন। এটি আপনাদের অধিকার। যখন কিয়েভে বোমা পড়ে, তখন তা ইউরোপেই ঘটছে। যখন ক্ষেপণাস্ত্রে আমাদের লোকজন নিহত হচ্ছেন, এটি সব ইউরোপীয়দের হত্যার শামিল।
জেলেনস্কি বলেন, এটি কেবল রাশিয়ার ইউক্রেনেই আগ্রাসন না, ইউরোপের মধ্যে যুদ্ধের শুরু। এদিকে কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পতন ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে—বর্তমানে যেভাবে হামলা এগোচ্ছে, তাতে এক থেকে চারদিনের মধ্যে রুশ নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে কিয়েভ।