সরকারি ভান্ডারে আছে পর্যাপ্ত চাল, পাইকারি বাজারেও কমতি নেই, দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই, তারপরও গেল এক সপ্তাহে আবারও কেজি প্রতি দুই টাকা বাড়লো সব রকম চালের দাম।
পাইকাররা বলছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মিলার হবার চেষ্টা আর চালের মজুদ সংক্রান্ত কোন তথ্য না থাকাতেই দাম বাড়ছে।
অন্যদিকে খাদ্য সচিব বললেন, দাম ঠিক না করা ও বাজারে তদারকির অভাবে ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের দাম।
চাপাইঁনবাবগঞ্জ থেকে আসা চালের ট্রাকের জন্য অর্ডার ছিলো সপ্তাহ আগে। ২৮০ বস্তা পাইজাম কিনতে পাইকারকে গুণতে হয়েছে বস্তা প্রতি ২ হাজার ২০ টাকা।
আর প্রতি বস্তায় ভাড়া ৫১ টাকা। সব মিলিয়ে ৪১ টাকা ৬০ পয়সায় কিনে তিনি বিক্রি করবেন ৪২ টাকা কেজি দরে।
অথচ খুচরা পর্যায়ে এই চাল সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৬ টাকা দরে। তাহলে কি কারণে বাড়লো দাম, এই প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি কারো কাছেই।
কেবল পাইজাম নয়, মোটা মাঝারি কিংবা চিকন প্রায় সব ধরনের চালের দামই খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি বেড়েছে অন্তত দুই টাকা।
সরকারের খাদ্যশস্য মজুদের মধ্যে চাল আছে ১৭ লাখ টনের ওপরে। গেল সপ্তাহ ধরেই বস্তা প্রতি ১ হাজার ৫৫ টাকা দরে স্বর্ণা আর ১ হাজার ৪৪৫ টাকা দরে মিনিকেট ধান কিনছেন মিলাররা। আবার রাজধানীর বাজারগুলোতেও নেই চালের সংকট।
সরকারি তথ্য আর পাইকারদের যুক্তি মানতে রাজি নন মিল মালিকরা। তারা বলছেন, উৎপাদন আর ভোগের যে ব্যবধান তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকার মাশুল দিচ্ছে চালের বাজার।
তবে এই যুক্তিও মানতে নারাজ খাদ্য মন্ত্রণালয়। সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা বললেন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত চাল থাকার পরও তদারকির অভাব আছে।
তিনি বলছেন, নিত্য পণ্যের যৌক্তিক হারে দাম সংক্রান্ত আইন না থাকা আর সব পক্ষের সুযোগ নেবার চেষ্টাই চালের দাম বেড়ে যাবার অন্যতম কারণ।